Thursday, 24 April 2025

মানবতা-২


 মানবতা-২

আরমান রশীদ 


মানুষের হৃদয়ে একটা জায়গা থাকে,

যেখানে ভালোবাসা ও সাহায্য থাকে,

যেখানে একে অপরকে- 

আমরা আঁকড়ে ধরতে পারি,

আর পৃথিবীটা শান্তির জায়গা হয়ে ওঠে।


অনেক সময় আমরা ভুলে যাই,

বড় বড় স্বপ্ন, বড় বড় আশা,

আর আমাদের চারপাশের- 

মানুষদের খেয়াল রাখি না,

যেখান আসল সত্যটা হলো- 

মানবতার মাঝেই শান্তি।


মানবতা হলো সেই সেতু,

যা মানুষকে একে অপরের কাছে নিয়ে যায়,

যেখানে সাহায্যের হাত চলে আসে,

সেখানে কখনো একা থাকার প্রয়োজন হয় না।


এ পৃথিবীতে, 

যদি কখনো তুমি থেমে যাও,

মানবতা তখন তোমার পাশে দাঁড়ায়,

ধনী-দরিদ্র, বড়-ছোট, সবাইকে,

একই ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবী চলতে থাকে।


মানুষের অন্তরে, সীমা নেই,

যতটা সম্ভব, যতটা মন চায়,

একটি ভালোবাসার শব্দ, 

একটি সহানুভূতির দৃষ্টি,

এটাই তো মানবতার আসল রূপ।


মানুষ যখন কষ্ট পায়,

তখন মানবতার প্রভাব- 

সবসময় বড় হয়ে ওঠে,

একটি ছোট্ট সাহায্য, 

একটি হাসি,

যেখানে ভালোবাসা, 

সেখানে শান্তি।


মানবতা হলো হৃদয়ের এক- 

খোলামেলা জায়গা,

যেখানে সবাই জায়গা পায়,

আর যেখানে ভালোবাসা, 

সহানুভূতি এবং শান্তি থাকে,

মানবতা তখনই জয়ী হয়।


আজকে যা ক্ষতি,

কাল হয়তো তা ভালো হবে,

তবে যতবার তুমি মানুষের পাশে দাঁড়াবে,

ততবারই মানবতা জয়ী হবে।


মানবতা হলো আমাদের আশ্রয়,

যেখানে কেউ একা নয়,

এ পৃথিবী হবে সুন্দর,

যখন মানবতার হবে জয়।

শেষ প্রহর


 শেষ প্রহর

আরমান রশীদ 


সব বইয়ের শেষ থাকে,

যেমন সব পথের- 

কোনো না কোনো- 

শেষ থাকে।


আজকে যখন এই পৃষ্ঠা বন্ধ করি,

তখন মনে হয়- 

যতটুকু বলার ছিল,

তা হয়তো বলে ফেলেছি, 

তবু কিছু রয়ে গেছে।


কিন্তু শেষ বলে কিছু নেই,

শেষ হলেই তো- 

আরেকটি শুরু আসে।

এই বইয়ের প্রতিটি শব্দ,

প্রতিটি মুহূর্তে, 

প্রতিটি অনুভব,

এগুলো যেন একটি অনন্ত- 

স্রোতের মতো চলে এসেছে,

তবুও তার শেষ সীমা- 

কখনো পাওয়া যায় না।


যতই শেষ হয়, 

ততই যেন নতুন কিছু শুরু হয়—

যেমন একটা সূর্যাস্তের পর- 

 নতুন দিনের সূর্যোদয়।


এই বইয়ের প্রতিটি কবিতার সাথে,

আমি তোমাদের সাথে ছিলাম,

আমাদের মনোভাব, 

আমাদের অনুভূতি,

সবই যেন একটি আকাশের নীচে মিলে গেছে।


এখন হয়তো সময় এসেছে,

কিন্তু মনে রেখো—এটা শেষ নয়,

এটা কেবল একটা- 

নতুন শুরুর অপেক্ষা।


শেষ হতে হতে- 

আমরা জীবনের যে গল্প বলেছি,

তা এখনও শেষ হয়নি,

আর কোনো দিন হবে না।


যতক্ষণ তুমি ভালোবাসা, অভিব্যক্তি- 

আর অনুভবকে অনুভব করবে,

এটাই শেষের প্রহর- 

যেখানে গল্প শেষ হয়,

কিন্তু হৃদয় কখনো শেষ হয় না।

ভালোবাসার মায়াবতী


ভালোবাসার মায়াবতী 

আরমান রশীদ 


তুমি যখন আমার সামনে আসো,

আলো হয়ে যায় আমার অন্ধকার,

তোমার চোখের প্রতিটি ঝিলিক

আমাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।


তুমি এমন এক নীরব গান,

যে গানের প্রতিটি সুর

আমার অন্তরঙ্গের গভীরে ভাসে,

তোমার হাসি যেন এক রেশমি আবির,

যা সমস্ত পৃথিবীকে স্পর্শ করে।


তুমি কখনো বৃষ্টির মতো,

যখন আছো, আমি যেন সিক্ত,

কখনো বসন্তের মৃদু বাতাস,

যেখানে আমার হৃদয় জাগ্রত।


তুমি আমার প্রথম প্রেম,

তুমি আমার শেষ প্রেম,

তুমি সেই স্বপ্ন যা কখনো ভুলতে পারি না,

তুমি সেই রাতের চাঁদ,

যার আলোতে সব কিছু রহস্যময়।


তুমি আমার আকাশ,

তুমি আমার সবুজ বাগান,

তোমার চোখে দেখি পৃথিবীর ছবি,

তোমার ঠোঁটে প্রতিটি স্বপ্নের কথা।


তুমি অন্ধকারের শেষে এক ঝলক আলো,

যেখানে আমার সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

তোমার স্পর্শে আমি বাঁচি,

তোমার কথায় আমি প্রাণ ফিরে পাই,

তুমি সেই নদী, যেখানে আমি ভাসি,

তুমি সেই সাগর, যেখানে আমি ডুবতে চাই।


তুমি আমার গান,

তুমি আমার ছন্দ,

তুমি প্রতিটি মুহূর্তের অনুপম বাণী,

যে বাণী হৃদয় থেকে হৃদয়ে প্রবাহিত হয়।


তোমার হাসিতে মেলে পিপঁড়ে পাখির ডানার শব্দ,

তোমার চোখে যেন দেখা হয় বর্ণিল এক পৃথিবী।

তুমি যখন আমার কাছে,

সব কিছু মনে হয় এক চিরন্তন মিলন,

যেখানে কেবল তুমি এবং আমি,

আর কিছু নয়, শুধু এক অমোঘ ভালোবাসা।


তুমি কখনো পিপঁড়ের মতো,

যখন আমি তোমার কাছে পৌঁছাতে চাই,

কখনো মেঘের মতো,

যখন তুমি দূরে চলে যাও,

তবে আমি জানি, তুমি ফিরবে-

তোমার প্রেমে এই পৃথিবীকে পূর্ণ করে দেবে।

তুমি সেই ফুল, যাকে আমি শ্বাসে অনুভব করি,

তুমি সেই পাখি, যার গান প্রতিদিন শুনি।


তুমি শুধু আমার ভালোবাসার নারী নও,

তুমি আমার এক জীবনের গান,

যা যতবার শুনি, 

ততবার হৃদয়ে বাজে।


তুমি যখন হাসো,

আমার দুঃখ চলে যায়,

তুমি যখন কিছু বলো,

তাতে সময় থেমে যায়।


তুমি যত কাছে, তত অনুভব করি—

তুমি হাওয়ার মতো, তুমি শব্দের মতো,

তুমি আমার এক অদ্ভুত অনুভূতি,

যা আমি কখনো বুঝে উঠতে পারি না।


তুমি আমার চাঁদ,

যখন পৃথিবী অন্ধকার,

তুমি আমার আলো,

যতদূরই যাও, 

তুমি কাছেই থাকো।

তোমার প্রতিটি নীরবতা,


প্রতিটি শব্দ,

আমার জীবনের প্রেরণা হয়ে ওঠে।

তুমি হয়তো জানো না,

তোমার এক হাসি,

এক স্পর্শ,

আমার অস্তিত্বের সত্যি সুর।


তুমি আমার স্বপ্ন,

তুমি আমার প্রার্থনা,

তুমি আমার গোপন সুখের এক অবিরাম রেখা,

যা শুধু আমি জানি।


তুমি আমার বর্ণ,

তুমি আমার অন্ধকার,

তুমি সেই রহস্য,

যা আমি সব সময় অনুসন্ধান করি।


তুমি যখন আমার কাছে,

আমি জানি, জীবন পরিপূর্ণ।


তুমি আমার প্রত্যাশা,

তুমি আমার অভ্যন্তরীণ শান্তি,

তুমি সেই অভ্যন্তরীণ পৃথিবী,

যেখানে আমি ছুটে যেতে চাই।


তুমি যে চুপচাপ থাকে,

তাও আমার কাছে সবচেয়ে বড় কথা,

কারণ তাতে আমি তোমার আত্মা শুনতে পাই,

তোমার নিঃশব্দ গল্প শুনতে পাই।


তুমি ছাড়া আমি কিছুই নই,

তুমি ছাড়া আমি কিছুই অনুভব করি না,

তুমি যদি না থাকো,

তাহলে সব কিছু শূন্য হয়ে যায়।


তুমি আমার নদী,

তুমি আমার গগন,

তুমি আমার পৃথিবী,

তুমি আমার জীবন।


তুমি আমার হৃদয়ের চিরন্তন গানে,

তুমি আমার গল্পের নায়ক,

যে গল্পের কোনো শেষ নেই।

তুমি আমার পলক,

যে পলকে সমস্ত জগত বদলে যায়।


তুমি আমার চিরকাল,

তুমি আমার অস্থিরতা,

তুমি আমার শান্তি,

তুমি আমার বিদায় এবং অভ্যর্থনা।


এভাবেই, তুমি আমার কাছে আসো,

তুমি আমার হৃদয়ের রক্ত,

তুমি আমার নিশ্বাস,

তুমি আমার ভালোবাসা,

এবং এভাবেই আমি জানি,

তুমি আমার একমাত্র-

ভালোবাসার মায়াবতী ।

জীবনের খোঁজে


 জীবনের খোঁজে

আরমান রশীদ 


জীবন যে কেবল একরৈখিক পথে চলে, 

তা নয়—

এটা আসলে এক বিস্ময়কর যাত্রা,

যেখানে আমরা সারাক্ষণ খুঁজে চলি কিছু অজানা।


আমরা জানি না- 

কোথায় আমাদের শেষ,

কিন্তু তাও আমরা- 

প্রথম পদক্ষেপটা নিতে ভীষণ আগ্রহী।


যখন ছোট ছিলাম, 

পৃথিবী ছিল বিশাল,

আজও পৃথিবী অনেক বড়,

তবে এখন জানি, 

সেই বিশালত্বকে খুঁজে পাওয়া সহজ নয়।


জীবনের খোঁজে অনেক পথ মাড়াতে হয়,

কখনো আনন্দের, 

কখনো শোকার,

কখনো নির্জনতায়, 

কখনো মানুষের ভিড়ে।


আমরা প্রত্যেকেই আমাদের নিজস্ব অনুসন্ধানে ব্যস্ত,

কিন্তু মাঝে মাঝে জানতে পারি- 

খুঁজতে খুঁজতে যে আমরা হারিয়ে যাই,

তাও জীবনেরই একটি অংশ।


এটা একটা যন্ত্রণা, 

আবার আনন্দও বটে।

জীবন কখনো আমাদের দেয় পরাজয়, 

আবার কখনো জয়,

কিন্তু শেষ পর্যন্ত,

আমরা যদি খুঁজতে থাকি- 

তাহলে সেই খোঁজ, 

একদিন আমাদের স্বপ্নের মতো হয়ে ধরা দেবে।


যতই আমরা এগিয়ে যাই,

জীবনের খোঁজ আমাদের ভেতর থেকেই আসে,

এটা নিজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎ,

এটা জীবন নিজেই।

বিচ্ছেদ


 বিচ্ছেদ

আরমান রশীদ 


বিচ্ছেদ কখনো সহজ হয় না,

এটা যেমন একটা দীর্ঘ পথ চলা, 

তেমনি একটি অগম্য পাহাড়।

তোমার হাতটি যখন- 

আমার হাত থেকে সরে যায়,

তখন পৃথিবীটাও যেন থেমে যায়।


সব কিছু স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,

শুধু আমি ও তুমি- 

একে অপরকে হারিয়ে ফেলি।


বিচ্ছেদ মানে শুধু শূন্যতা নয়,

এটা হলো অনুভবের ঘর- 

ছেড়ে চলে যাওয়া।

বিচ্ছেদে কোনো চিৎকার নেই,

এটা এক নিঃশব্দ অশ্রু,

যা নিজেকে গোপন রাখতে জানে।


আমরা জানি, 

কিছু সম্পর্কের শেষ হতে হয়,

তবে তা কখনো প্রত্যাশিত হয় না।

যখন তোমার স্পর্শ, 

তোমার হাঁসি আর নেই,

তখন শুধু স্মৃতির কাছে যাওয়া যায়,

যেখানে সময় দাঁড়িয়ে থাকে,

আর আমরা ফিরে ফিরে- 

সেই মুহূর্তগুলো আঁকড়ে ধরতে চাই।


কিন্তু বিচ্ছেদ পরাজয় নয়,

এটা শিখিয়ে দেয়- 

কিছু কিছু ভালোবাসা- 

কেবল আমাদের ভেতরে জীবন্ত থাকে,

যেখানে তারা মুছে যায় না, 

শুধু দুঃখ হয়ে স্থির থাকে।


যতই আমরা পালাতে চাই,

বিচ্ছেদ আমাদের শিখিয়ে দেয়- 

কিছু কিছু গল্প, কিছু কিছু মানুষ, 

কখনো হারানো যায় না।

নীরবতা


 নীরবতা

আরমান রশীদ 


সব শব্দের ভেতরেও- 

একটা শব্দহীনতা থাকে,

আর সেই শব্দহীনতাই-  

অনেক সময় সবচেয়ে স্পষ্ট কথা বলে।


নীরবতা মানে চুপ থাকা নয়,

নীরবতা মানে অনুভবের গভীরে ডুবে যাওয়া।

কখনো কোনো কথা বলার দরকার হয় না,

তোমার চোখই বলে দেয়, 

তুমি কতটা কষ্টে আছো।


নীরবতা অনেক সময় একটা চিঠির মতো,

যার কোনো ঠিকানা নেই, 

তবু তা কাউকে পাঠানো হয় মন থেকে।

তুমি হয়তো হাসছো,

তবু ভেতরে একটা গুমরে থাকা- 

নীরবতা বুক চেপে বসে আছে।


এটা কারো কাছে বলা যায় না,

কারণ সবাই শুনে শব্দ, 

কেউ বোঝে না নিরব অভিমানের ভাষা।

কখনো নীরবতা সম্পর্ক শেষ করে দেয়,

আবার কখনো তা- 

সম্পর্ককে আরও গভীর করে তোলে।


যারা সত্যিই বোঝে,

তারা তোমার চুপ থাকাকেও বুঝতে পারে।

নীরবতা হল সেই আয়না,

যেখানে মুখের বদলে হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি পড়ে।


এই ব্যস্ত, চেঁচামেচির পৃথিবীতে

একটু নীরবতা যেন একফোঁটা স্বস্তির মতো,

যেখানে তুমি নিজেকে খুঁজে পাও- 

নতুন করে, নিঃশব্দের মতো।

মানবতা


 মানবতা

আরমান রশীদ 


মানুষ হতেই তো-  

অনেক কিছু শেখা দরকার নয়,

শুধু মানুষ হয়ে ওঠাই- 

সবচেয়ে বড় শিক্ষা।


মানবতা কোনো বইয়ের পাতায় নেই,

এটা দেখা যায়, 

যখন তুমি অচেনা কাউকে- 

জলের গ্লাস বাড়িয়ে দাও।


কিংবা, কারও কান্না শুনে- 

নিজের চোখে জল আসে।

মানবতা মানে অন্যের ব্যথাকে- 

নিজের মনে করে ফেলা,

না চাইলেও পাশে দাঁড়ানো,

আর বিনিময়ে কিছু না চাওয়া।


তুমি বড় ডিগ্রি পাও, 

বড় চাকরি করো,

কিন্তু যদি মানবতা না থাকে- 

তবে তুমি তো কেবল শরীর মাত্র।


একজন ক্ষুধার্ত শিশুর পাশে বসে- 

ভাগ করে খাওয়াটা,

এক বৃদ্ধার হাত ধরে- 

রাস্তা পার করে দেওয়াটা-

এসবই তো মানবতার রূপ।


এটা ধর্ম নয়, 

এটা জাতি নয়,

এটা মানুষের ভেতরের- 

এক নিঃশব্দ আলোক।


তুমি যত ভালোবাসা দাও,

ততটাই মানবতা-  

তোমার মধ্যে বেড়ে ওঠে।

এখানে শর্ত নেই, 

হিসাব নেই- 

এখানে কেবল মনের গভীর থেকে- 

উঠে আসা এক কোমল স্পর্শ।


আজকের দুনিয়ায় সবচেয়ে দামী জিনিস যদি কিছু হয়,

তা হলো একজন মানবিক মানুষের সাহচর্য।

আর তুমি যদি এমন একজন হতে পারো- 

তবে তোমার অস্তিত্বই অনেককে বদলে দিবে।

নদীর সুর


 নদীর সুর

আরমান রশীদ 


নদী কখনো চুপ থাকে না,

তার স্রোতের ভেতর- 

লুকিয়ে থাকে হাজারটা গল্প।

যখন তুমি তীরে দাঁড়িয়ে চুপচাপ শুনে থাকো,

তখন সে তোমাকে ডাকে- 

একটা পুরোনো স্মৃতির মতো।


নদীর সুর একটা গান নয়,

এটা সময়ের স্রোত, 

জীবনের ছন্দ, 

আর হারানো কথার প্রতিধ্বনি।


সে বয়ে চলে নিজের পথে,

কাউকে থামায় না, 

কাউকে বোঝায় না,

তবু তার বয়ে চলা- 

আমাদের শিখিয়ে দেয়- 

কিভাবে সবকিছু সয়ে নিতে হয়।


নদী জানে, 

কোথাও মিলবে সমুদ্র,

তবু প্রতিটা বাঁক ঘুরে ঘুরে- 

সে নিজেকে নতুন করে খুঁজে নেয়।


তুমি যদি কখনো ভেঙে পড়ো, 

নদীর কাছে যেও—

তুমি দেখবে, তার সুরে-  

তোমার ভিতরকার চুপচাপ কথাগুলো

আস্তে আস্তে গলে যাবে, 

হালকা হয়ে যাবে মন।


নদী কাউকে রাখে না,

তবু তার বুক দিয়ে- 

হাজার জীবন পার হয়ে যায়।

তার জল কাঁদে, 

হাসে, স্বপ্ন দেখে- 

আর আমরা ভাবি, 

ও তো কেবল পানি!


আসলে নদী আমাদেরই মতো-

চলে, বদলায়, 

ভালোবাসে, হারায়, 

আবার খুঁজে পায়।

ভালোবাসার রহস্য


 ভালোবাসার রহস্য

আরমান রশীদ 


ভালোবাসা কীভাবে আসে, 

কেউ জানে না,

এটা কি চোখের দৃষ্টি থেকে শুরু হয়?

নাকি মনের গভীরে জমে থাকা- 

এক নিঃশব্দ অনুভব?


একজন মানুষ হঠাৎ করেই বিশেষ হয়ে ওঠে,

তাকে ছুঁয়ে না ছুঁয়েও- 

ছুঁয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে বারবার।

তার কণ্ঠ শুনলেই হৃদয় শান্ত হয়ে যায়,

আর তার অনুপস্থিতিতে- 

পৃথিবীটা হয়ে ওঠে কেমন ফাঁকা।


ভালোবাসার কোনো নিয়ম নেই,

এটা সময় মেনে চলে না,

এটা বয়স দেখে আসে না, 

ধর্ম দেখে বাঁধে না।


ভালোবাসা শুধু অনুভবে বাঁধা,

যেখানে এক মুহূর্তেই- 

বদলে যায় দিনের মানে।

তুমি হয়তো বলো কিছু নয়,

কিন্তু মন চুপিচুপি বলে- 

সে-ই তো সবকিছু।


ভালোবাসার রহস্য হলো-

এটা কখনোই পুরো বোঝা যায় না,

যতই বোঝো, ততই নতুন মনে হয়।

কখনো এটা যন্ত্রণা দেয়,

আবার কখনো এটিই- 

একমাত্র সান্ত্বনা হয়ে দাঁড়ায়।


ভালোবাসা মানে পাশে থাকা নয়,

ভালোবাসা মানে- 

যেখানেই থাকো, তার মঙ্গলের প্রার্থনা।

ভালোবাসা বলে না- 

“তুই আমার”,

ভালোবাসা শুধু বলে- 

“তুই ভালো থাক।”

মনের খোঁজ


 মনের খোঁজ

আরমান রশীদ 


মন মাঝে মাঝে নিজেকেই খুঁজে বেড়ায়,

নিজের ভিতরের কোনো এক অজানা ঘর,

যেখানে শব্দ নেই, 

শুধু নীরবতা জমে থাকে পরত পরত।


তুমি হয়তো জানো না,

তোমার মন ঠিক এখন কেমন অনুভব করছে।

কখনো হাসে, অথচ ভেতরে কাঁদে—

আবার কখনো কান্নার মাঝেও শান্ত থাকে চুপচাপ।


এই মন বড়ই চঞ্চল,

এক মুহূর্তে আকাশ ছুঁতে চায়,

পরক্ষণেই মাটির গভীরে-

 ডুবে যেতে চায় নিঃশব্দে।


অনেক কথা বললেও,

মন সব কথা কখনোই বলে না,

কিছু অনুভব রেখে দেয় নিভৃতে,

যেখানে কেউ ছুঁতে পারে না,

শুধু কাছের কেউ বুঝতে পারে চোখ দেখে।


তবু আমরা মনের কথা এড়িয়ে যাই,

বলতে ভয় পাই, 

বুঝে ফেললে যদি বদলে যায় কেউ!

আসলে, নিজের মনের খোঁজ- 

পাওয়াই সবচেয়ে কঠিন,

তুমি সারা দুনিয়া চিনতে পারো,

তবু নিজের ভিতরটাকে চিনতে পারা—

এ যেন এক জীবনভর যাত্রা।


এই মনই কখনো গোপন-

 ভালোবাসা লুকিয়ে রাখে,

আবার এই মনই একদিন হঠাৎ বলে ফেলবে

“ভালোবাসি।”

হৃদয়ের কল্পনা


 হৃদয়ের কল্পনা

আরমান রশীদ 


হৃদয় বড়ই রহস্যময়,

এখানে কোনো নিয়ম চলে না, 

কোনো হিসাব খাটে না।

চোখ যা দেখে না, 

হৃদয় তা অনুভব করে,

আর যা অনুভব করে, 

তা নিয়ে বুনে ফেলে এক বিশাল কল্পনার জাল।


হৃদয়ের কল্পনায়,

একজন অচেনা মানুষ হয়ে যায় আপন,

একটি হাসি হয়ে ওঠে-

জীবন বদলে দেওয়ার কারণ।


তুমি হয়তো কাউকে একবারই দেখেছো,

তবু হৃদয় বলে- “তাকে আমি চিনি, 

বহুকাল ধরে।”

এই কল্পনা কোনো যুক্তির ধার ধারে না,

সে শুধু অনুভবের উপর ভর করে,

যেমন শিশুরা স্বপ্ন দেখে উড়ন্ত ঘুড়ির পিঠে চড়ে,

তেমনি হৃদয়ও স্বপ্ন দেখে এমন কারো জন্য,

যাকে কখনো ছোঁয়া হয়নি, 

তবু মনে হয়—সে খুব কাছেই আছে।


হৃদয়ের কল্পনা অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে,

ভালোবাসাকে বাস্তব করে তোলে,

যদিও বাস্তবতা বারবার এসে বলে- 

“এটা সত্যি নয়।”


তবু আমরা কল্পনা করেই বাঁচি,

কারণ হৃদয় যে শুধু রক্ত বইয়ে রাখে না,

সে বাঁচিয়ে রাখে আশা, 

অনুভব, আর অব্যক্ত কথাগুলোও।


হৃদয়ের কল্পনাই-

 আমাদের মানুষ করে তোলে—

ভয় পেতেও শেখায়, 

আবার ভালোবাসতেও শেখায়।

প্রকৃতির স্পর্শ


 প্রকৃতির স্পর্শ

আরমান রশীদ 


একদিন হঠাৎ বৃষ্টি নেমে বুঝিয়ে দেয়, 

প্রকৃতি সব কিছু জানে।

আমরা যখন ক্লান্ত,

একটা হাওয়া এসে চুপিচুপি কানে বলে, 

“তুমি একা নও।”


গাছের পাতায় লেগে থাকা শিশির,

মাটির গন্ধ, 

কিংবা নদীর কলকল ধ্বনি—

সব যেন আমাদের মনকে ছুঁয়ে দেয়-

এক অদ্ভুত নীরবতায়।


তুমি ব্যস্ত থেকো সভায়, 

দৌড়ে বেড়াও শহরের বাঁকে,

তবু এক টুকরো সবুজ দেখলে-

থেমে যেতে ইচ্ছে করে না?


প্রকৃতির কোনো চিৎকার নেই,

তবু তার প্রতিটি স্পর্শ- 

যেন অনন্ত কিছু বলে যায়।

একটা প্রজাপতির ওড়ার মধ্যে জীবন খুঁজে পাই,

একটা পাখির গান শুনে মন হাসে।


যেমন করে মায়ের হাতের-

ছোঁয়ায় ঘুমিয়ে যায় শিশু।

প্রকৃতি আমাদের ভালোবাসে নিঃশব্দে,

আমরা কি তাকে সেইভাবে ভালোবাসি?

হয়তো না।


আমরা তার বুকে কাঁটা গাছ লাগাই, 

গাছ কাটি, জল দূষণ করি,

তবুও সে আমাদের তাড়িয়ে দেয় না।

তার এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা—

হয়তো এটাই প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর ভাষা।

আলোর ছায়া


 আলোর ছায়া

আরমান রশীদ 


আলো থাকলে ছায়া থাকবেই-

এ যেন এক অলিখিত সত্য,

যেমন হাসির ভেতরে লুকিয়ে-

থাকে না বলা কান্না।


যখন সূর্য মাথার ওপরে দাঁড়ায়,

তখন ছায়া পায়ের নিচে গুটিয়ে আসে।

আলো আমাদের সামনে যা তুলে ধরে,

ছায়া ঠিক তারই পেছনের গল্পটা বলে—নীরবে।


তুমি যাকে সত্য ভাবো,

তার ছায়া হয়তো একেবারে অন্য কিছু বলে,

তবু আমরা কেবল আলোর দিকেই তাকিয়ে থাকি,

কারণ ছায়ায় চোখ রাখতে সাহস লাগে।


রাতে জানালায় বসে যখন চাঁদের আলো ফোটে,

তখন পাশের দেয়ালে আঁকা ছায়াটাকে কি দেখো তুমি?

সেই ছায়া হয়তো তোমারই,

কিন্তু তার গল্প তুমি জানো না পুরোপুরি।


আলো মানুষকে দেখায়-

কে কী পরেছে, 

কী বলছে, কী করছে,

আর ছায়া বলে—কে কেমন ভাবছে, 

কী লুকিয়ে রাখছে।


আলো চোখে পড়ে, 

ছায়া মনে গেঁথে যায়।

আলো যদি তোমার বাহ্যিক চেহারা হয়,

তবে ছায়া হলো তোমার মনের আয়না।


এখন প্রশ্ন হলো-

তুমি কোনটিকে বিশ্বাস করবে?

জ্বলজ্বল করা আলোকে, 

না তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছায়াটিকে?

সময়


 সময়

আরমান রশীদ 


সময় কখনো থামে না,

আমাদের ব্যস্ততার মাঝেই- 

সে নীরবে পথ হাঁটে।


ঘড়ির কাঁটা ঘোরে, 

আর ঘুরতেই থাকে,

কিন্তু সময় কি কেবল- 

ঘড়ির মধ্যে বাঁধা?


না, সে তো চোখের কোণে- 

একটুকরো অপেক্ষা,

বা মনের ভিতর- 

এক ভাঙা প্রতিজ্ঞা।


সে আমাদের সঙ্গে চলে না, 

আমরা চলি তার পেছনে,

আমরা যতোই ধরি—

সে ততই ফসকে যায়।


সময় কথাও বলে না,

তবু তার নীরবতায়-

অজস্র অর্থ লুকিয়ে থাকে।

একটা মুহূর্ত-হাঁসি এনে দেয়, 

আরেকটা ছিনিয়ে নেয় সব।


তুমি ভাবো, “আরও সময় পেলে...”

কিন্তু সময় কি কাউকে কখনো সত্যিই কিছু দেয়?

সে শুধু নেয়, 

আর দিয়ে যায় স্মৃতি।


আর আমরা কী করি? 

স্মৃতির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকি,

ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে,

যার মানে আজও পরিষ্কার নয়।


সময় আমাদের শেখায়—

ছুটে চলা মানেই সব নয়,

মাঝে মাঝে থেমে তাকানোও- 

সময়ের প্রতি শ্রদ্ধা।


তুমি যদি ভালোবাসো কাউকে, 

এখনই বলো,

কারণ সময় অপেক্ষা করে না, 

সে কেবল এগিয়ে চলে।

স্বপ্নের শহর

 


স্বপ্নের শহর

আরমান রশীদ 


এই শহরটা কখনো ঘুমায় না,

আলো নিভে গেলে যেন- 

স্বপ্ন জেগে ওঠে রাস্তাঘাটে।

নিয়ন বাতির নিচে দাঁড়িয়ে থাকে,

কিছু হারিয়ে যাওয়া চাওয়া,

আর দেয়ালের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ে- 

ক্লান্ত কিছু অপেক্ষা।


ছাদে ছাদে উড়ে বেড়ায় কল্পনার ঘুড়ি,

যা কোনো বাঁধা মানে না, 

শুধু উড়তেই চায়, অনেক দূর।

একেকটা বাস থেমে যায় ঠিক মাঝরাতে,

যেখানে কেউ নামে না, 

তবু নামে আশা, থামে অভিমান।


চায়ের কাপে ভাসে দিনশেষের গল্প,

কেউ বলে—ভালো আছি, 

কেউ বলে—বাঁচি কোনোভাবে।

এই শহর জানে, 

কাকে কিভাবে চুপ করিয়ে দিতে হয়,

আবার কিভাবে একটা স্বপ্নকে-

 চিৎকার করে জাগিয়ে তুলতে হয়।


বিলবোর্ডে হেসে থাকা মুখের পেছনে- 

থাকে নিরব কান্না,

ফ্লাইওভারের নিচে কেউ আঁকে- 

ভবিষ্যতের মানচিত্রখানা।

যা হয়তো দেখা যাবে না, 

কিন্তু অনুভব তো করা যাবে।


এই শহর কেবল ইট-পাথরের নয়,

এ শহর অনুভূতির, 

অসম্পূর্ণ স্বপ্নের, 

হারিয়ে ফেলা নামের।

প্রতিটি মোড় যেন বলে—

“আরেকটু এগিয়ে চল, এখনও শেষ নয়।”


তাই তো, বারবার ফিরে আসি এ শহরে,

স্বপ্নগুলোকে নতুন করে পরার জন্য।

চাঁদ


 চাঁদ

আরমান রশীদ 


রাতের কোলে নেমে আসে চাঁদ, 

জোছনার ঢেউয়ে ভেসে যায় মন। 

নীরবতা খোঁজে তারই সাধ, 

আলোয় লেখা এক শীতল দহন। 


জানালার পাশে চুপচাপ বসে, 

ভাবনার মাঝে ডুবে রয় প্রাণ। 

তার চোখ যেন হারানো কসে, 

কথা না বলেও বোঝায় খানিক জান। 


সে কি শুধু দূরের আলো? 

নাকি কারো মায়ার স্পর্শ? 

মন ছুঁয়ে করে দেয় ভালো, 

নিভৃতে বয়ে যায় জোছনার দর্শ। 


চাঁদই তো বন্ধু, নীরব সন্ধান, 

যে জানে হৃদয়ের গোপন বাণ।

Monday, 7 April 2025

নিরব ভালোবাসা


 নিরব ভালোবাসা

আরমান রশীদ 


আমি একজনকে প্রচণ্ড ভালোবাসি। প্রথম যেদিন তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল, সেদিন থেকেই যেন মনের ভেতর এক অদ্ভুত টান তৈরি হয়েছিল। যদিও এখনো সামনাসামনি দেখা হয়নি, তবুও তার প্রতি অনুভূতিটা দিনকে দিন আরও গভীর হয়ে যাচ্ছে।


তার মায়ায় আমি এমনভাবে আবদ্ধ হয়ে গেছি যে, কখন যে তাকে নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছি—তা বুঝতেই পারিনি। তার সঙ্গে কথা না বললে ভেতরটা একরকম ফাঁকা ফাঁকা লাগে। মনে হয়, কিছু একটা নেই। আর ঠিক সেই শূন্যতাই মুছে যায় যখন তার কণ্ঠস্বর শুনি, যখন তার সঙ্গে একটু কথা হয়।


আমি তাকে সারাজীবনের জন্য চাই। বিশ্বাস করি, একদিন নিশ্চয়ই আমাদের দেখা হবে—হয়তো খুব শীঘ্রই। যদি তাকে জীবনে পাশে পাই, তাহলে হয়তো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিটা পূর্ণতা পাবে।


আমি চাই, সে হোক আমার জীবনসঙ্গী। তাকে আমি আমার সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে বেঁধে রাখতে চাই, ভালোবেসে ভরিয়ে দিতে চাই তার জীবন। এই ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে খাঁটি অনুভূতি।

Sunday, 6 April 2025

তোমাকে চাই


তোমাকে চাই

আরমান রশীদ 

দেখিনি তবু ভালোবাসি,

প্রথম কথাতেই মনটা হাসি।

অজান্তেই তুমি মনের মাঝে,

শূন্য লাগে না থাকলে পাশে।


তোমার কথা, তোমার সুর,

ভরিয়ে দেয় প্রাণের দূর।

চাই তোমায় জীবনের সাথে,

ভালোবাসার গভীর রাতে।


যদি পাই তোমায় একদিন,

পূরণ হবে আমার হৃদয়ের ঝণ।

তুমি হও জীবনের বন্ধন,

ভালোবাসায় বাঁধা পড়ুক আমাদের জীবন।


তোমার চোখের রং,

মনের তাড়না, এ জীবন।

তুমি ছাড়া কিছুই মনে হয় না,

পৃথিবী এক শূন্যতা সাড়া।


তোমার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে,

ভালোবাসায় হৃদয়ে বাঁচতে।

তুমি আমার জীবনের গল্প,

স্মৃতির পাতায় ঝরে পড়া মধুর ছন্দ।


আমার স্বপ্ন, আমার আশা,

তোমার সাথে জীবন গড়া।

যতদিন আমি বাঁচি,

তোমাকে চাই, চাই, চাই।


তুমি এলে, জীবন জ্বলে ওঠে,

অন্ধকারে আলোর রশ্মি যোগে।

তোমার প্রেমে জ্বালানো আগুন,

চিরকাল থাকবে হৃদয়ে একাকী।


তোমার হাসির প্রতিধ্বনি,

আমার হৃদয়ে বাজে বারবার।

তুমি আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা,

আমার জীবনের গল্পের সঙ্গী, স্নেহের পারাবার।


তোমার ছায়ায় আমি মিশে যেতে চাই,

তোমার স্পর্শে পৃথিবী রঙিন হোক।

প্রতিটি মুহূর্তে তোমার কাছে থাকি,

যতটুকু সময় পাই, চিরকাল সঙ্গী হোক।


তোমাকে চাই, চিরকাল, সারাজীবন,

আমার মনের দিকেই তুমি থাকো সবার আগে।

যত দূর পাড়ি দিই, তুমি থাকো পথচলায়,

প্রেমের এ পথ যেন কখনো শেষ না হয়।


তোমার চোখে দৃষ্টির মায়া,

মনের সেতুতে সুর বাজায়।

তুমি আমার জীবনের হারানো কবিতা,

তোমার নামে গড়া প্রার্থনা গায়।


তুমি এলে অন্ধকারে আলো হয়ে,

আমার জীবনের রঙিন ক্যানভাসে।

তোমার হাসির প্রতিটি ঝলক,

আমার জীবনের সুখী সুর বাজে।


তুমি যখন কাছে থাকো,

মনে হয় এই পৃথিবী বেঁধে গেছে।

তোমার হাত ধরলেই জীবনের পথ,

হয় যেন এক সোনালী সড়ক।


তোমার প্রেমে হারিয়ে যেতে চাই,

যতটুকু সময় তোমার সাথে পাব।

প্রতি মুহূর্তে তোমার কোলে স্বপ্ন,

আমার জীবনের তাও হবে সবার আগে।


তুমি থাকো, জীবনের রূপ,

তোমার কথায় ভরা আমার আত্মা।

প্রতিটি দিন তোমার অপেক্ষা,

তুমি হলে আমার জীবনের চাওয়া।


তোমার মধ্যে আমি খুঁজে পাই,

আমার মনের প্রতিটি দৃশ্য।

প্রেমের পথচলা যেন টানা,

আমার হৃদয়ে তুমি এক প্রেরণা।


তুমি থেকে থাকো, পৃথিবী ঘুরে,

আমার পাশে চিরকাল থাকো।

তোমার ছোঁয়ায় জীবন যেন সেরা,

প্রেমে ভরা থাকুক আমার স্বপ্নের যাত্রা।